Saturday, 6 December 2014

এক পিঁপড়ার বিরল সাহসিকতা।

এক পিঁপড়ার বিরল সাহসিকতা।
অনেক অনেক বছরের আগে কথা। বাবুল শহরে বাস করত এক বাদশাহ। বাদশাহ ছিল খুব রূঢ়। তাঁর নাম ছিল নমরুদ। এই দম্ভ শাসক খোদা দাবী করেছিলএই দাবী যখন হজরত ইব্রাহিম কানে পৌঁছে। তিনি কিছুতেই মেনে নিতে পাচ্ছিলনা। তাই ওই বাদশাহার বিরুদ্ব করেন, তখন তিনি তাঁর শত্রুয়ে পরিনিত হন
নামরুদ হযরত ইব্রাহিম আঃ কে আগুন পুড়ার ইচ্ছা করে। এই খবর অলিতে গলিতে সবখানে ছড়িয়ে পড়ে। এমন কি পিঁপড়াও এক পিঁপড়া এই খবর শুনে চিন্তা করে, এই মসিবত থেকে কিভাবে রক্ষা করা যায় ইব্রাহিমএই দুর্দশায় কি করা যায়? আল্লাহ বন্ধুর সাহজ্যে কিভাবে এগিয়ে আসা  যায়?
 দুহাত গুড়ে বসা থাকা মানে হয়না কারণ কিয়ামতের দিন আল্লাহ আমাকে বন্ধুর ব্যপারে জিজ্ঞাস করলে, আমার উত্তর কি হবে! সে পিঁপড়া দুটি কাঠি নেয়। সে কাঠি দিয়ে পাত্র তৈরি করে। পানির উদ্দশ্যে একটি ছোট নদী দিকে ছুটে চলে। সে ওই কাঠের কলসিতে পানি ভরে আনছিল। অনেক কষ্ট ক্লাশ সহ্য করে কলসি পিঠে বহন করছিল। নামরুদের আগ্নিকুণ্ডের দিকে চলছিল, প্রতিমধ্যে একটি কাকের সঙে দেখা হয়। সে কাক তাকে আশ্চর্জ হয়ে বলে।
কাক , হে পিঁপড়া যাও কয়?
পিঁপড়া, নমরুদের শহর বাবুলে
কাক, এত কষ্ট সহ্যকরে  তোমার পিঠে কি বহন করছ?
পিঁপড়া, পানির কলসি।
কাক, পানি কেন?
পিঁপড়া, তুমি জাননা অভিশপ্ত নমরুদ আল্লাহ খলিলকে পুড়িয়ে মারতে আগুন জ্বালিয়েছে?
কাক, না ,আমি তো জানতাম না। কিন্ত তোমার পানি বহনের সঙে এঁর সম্পর্ক কি?
পিঁপড়া, সে আগুন নিভাতে ক্ষুদ্র প্রয়াস।
কাক (বিদ্রূোপচলে),  হে বোকা তোমার এই কিঞ্চিৎ পানি, আগুন নিভাবে? তা  আবার নমরুদের বিরাট আগ্নিকুন্ড?!
পিঁপড়া, কখনও পারবনা আমি জানি, তা আমার সাধ্য সমার্থের বাইরে। কিন্তু আমি করছি দুটি কারণে।
কাক, কারণ দুটি কি?
পিঁপড়া, এক আমি আমার গন্তব্য নিরধার্ন করছি, আমি যা ইচ্ছা করছি আমি জানি। আমি ওই সব থেকে নই যারা এই নাক্ষর জনক পরিস্থিতে আনন্দিত। যদিও আমার সাদ্য ক্ষমতার বাইরে।
কাক, দ্বিতীয়
পিঁপড়া, যেন আল্লাহর নিকট লজ্জিত হতে না হয়, আল্লাহ বলবে, তোমার সামনে আমার খলিলকে( বন্ধুকে) আগুনে পুড়া হয়েছিল তুমি কিছু করেনি? তাই আমার যতটুকু সম্ভব করছি। আমি অভস্ত নয় দূরে সরে থাকতে তাঁর জীবন থেকে।
কাক, (হেউ করে) পিঁপড়াকে হাসিচ্ছলে এড়িয়ে যাচ্ছিলসেই অকুতভয়ী পিঁপড়া আগ্নিকুন্দের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল প্রখর সংকল্প বুকে নিয়ে।

শিক্ষণীয় বিষয় হল এই কাহিনী থেকে।
১ কাজ করে যাও, যদিও নগণ্য হয়।
২ কখনও খারাপ পরিস্থিতিকে মেনে নিয়না, তাঁর মোকাবেলা করার প্রয়াশ।
৩ তোমার গন্তব্য নির্ধারন কর। এলোমেলো জীবন যাপন করনা।
৪ তুমি কি করেছ, সে ব্যপারে তোমার সজ্ঞান থাকতে হবে।
৫ তুমি আপন গন্ত্যভে দুর্বার গতিতে চলতে থাক।
৬ যে তোমার আশাকে ভেঙে দিচ্ছে তার দিকে ভ্রুক্ষেপ করনা।