Saturday, 6 December 2014

এক পশ্চিমা ব্যক্তির স্বীকারোক্তি ও ইসলাম গ্রহণ


তিনি হলেন ডঃ গারি মিলয়র, তরেনতো বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যাত ও যুক্ত শাস্ত্ররের প্রধান। তিনি খৃস্টান মিশিনারিদেরির মধ্যে অন্যতম।ইসলাম ধর্মের প্রতি ছিল তাঁর খুবই রেশ। আসমানি কিতাব সমূহের ক্ষেত্রে তাঁর ছিল প্রচুর জ্ঞান। অঙ্খে তিনি ছিলেন খুবই পারদর্শী। তিনি এই বিষয়কে বেশি ভালবাসতেন। সে জন্যে তিনি মানতেক যথা যুক্তিবিদ্যাকে প্রধান্য দিতেন। যুক্তিবিদ্যার দলিলই তিনি বিশ্বাস করতেন। একদিন তিনি কুরআন পড়তে ইচ্ছা করে, কোরআনে ভুল বের করার জন্য। যেন এই ভুলগুলো মুসলমানদের সামনে উপস্থাপন করা যায়। সে আশা করছিল এই কুরআন ১৪শ বছর আগের কিতাব। এতে পাওয়া যাবে মরুভুমি, উঠ ইত্যাদি। কিন্ত পাঠের পর অনেক কিছু সম্পর্কে অবগত হয়ে,তিনি অত্যান্ত ভেঙে পড়েন। বরং তিনি জানতে পারে, এইটা একটা মহান কিতাব। এই কিতাব যা ধারন করেছে তাঁর দুই দালের মধ্যে, পৃথিবীর অন্যকোন কিতাবে পাওয়া যায়না। সে আরও আশান্বিত ছিল। এই কিতাবে মুহাম্মদের সাঃ জীবনে যে সব পীড়াদায়ক মুহুর্ত ছিল, সে সব পাওয়া যাবে। যেমন রাসুল সাঃ এর স্ত্রী  খাদিজা, ছেলে ও মেয়েদের মৃত্যু কাহিনী। কিন্তু সে এসবের মধ্যে কিছু পায়নি। কোরআনে মরিয়ম নামে সুরাটি তাঁকে হয়রান করে পেলে। সে সুরাতে মরিয়ম আঃ গুনকীর্তন করা হয়েছে। যে গুন কীর্তন অন্যকোন আসমানি কিতাবে পাওয়া যায়না। যেমন খৃস্টানদের কিতাব ও তাদের ইঞ্জিলের মধ্যে। সে আয়েশা অথবা ফাতেমা রাঃ নামে কোন সুরা পায়নি। সে আর পেয়েছে, এই কিতাবে ২৫বার ঈসা আঃ নাম উল্লেখ করা হয়েছে। পক্ষান্তরে মুহাম্মদের নাম ৪ বার উল্লেখ করা হয়েছে। লোকটির হয়রানি আর বেড়ে যায়। সে আরও ত্নন্য হয়ে এই কিতাব পাঠ করছিল। হতে পারে আরও বেশকিছু  পেতে পারে এই অধীর আশায়কিন্ত সে সুরা নিসা ৮২ নং আয়াত পড়ে হুশ হারিয়ে পেলে। আয়াত খানা, এরাকি কুরআনে গভীর চিন্তা গবেষণা করেনা। এই কিতাব যদি আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও পক্ষে থেকে হত, তাতে নানা মতানক্য দেখতে পেত। ডঃ বলেন, এই আয়াত মহৎ একটি কানোনের কথা বলছে এখন। এই কুরআনে ভুল ও ত্রুটির কথা। যেন তাঁর হাকিকত প্রকাশ পায়। আশ্চর্জ, মুসলিম ও অমুসলিম সবাইকে কুরআন আহ্বান করছে। কুরআনের ভুল বের করতে। কখনও তাতে ভুল বের করতে পারবেনা। যেন তাঁর সত্যতা প্রমান পায় এর মধ্যে। অনুরুপ যেসব আয়াতে ডঃ দীর্ঘ সময় ব্যয় করছেন, সুরা আন্মবিয়ার ৩০নং আয়াত। কাফেররা কি দেখেনি এই আসমান জমিন উভয় একসঙ্গে মিলানো ছিল। অতপর উভয়কে আমি আলগ করে দিয়েছি। পানি থেকে আমি সব জীব সৃষ্টি করেছিতদস্তেওকি এরা ঈমান আনবে না। তিনি বলেন, ইহা একটি আলোচ্য থিওরি। এই বিষয়ে গবেষণা করে ১৯৭৩সালে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। বিকট একটি আওয়াজের পর এই ভবের অজুদ হয়। এতে সৃষ্টি হয়েছে আসমান, জমিন ও চাঁদ, চেতারা। আয়াতের শেসে আলোচনা করা হয়েছে, পানিই জীবনের উৎস। ডঃ আরও বলেন, এই বিষয়টি খুবই আশ্চর্জ জনক। যে বর্তমান বিজ্ঞান প্রমান করছে, যে জীবন্ত খুলিয়া সৃষ্টি হয় ইস্তুবেলাজম থেকে, জার ৮০% হল পানি। একজন অশিক্ষিত ব্যাক্তি এসব নিয়ে আলাপ আলোচনা করতে পারে। যে কখনও স্কুলের বারান্দায় পর্জন্ত পা রাখেনি। যিনি ১৪শ বছর আগে জীবনযাপন করেছেন। তাঁর কাছে আসমান থেকে ওহিই আসছে। না হয় এরকম হওয়ার নয়ফলে ডঃ মিলয়র ইসলাম গ্রহণ করেন। ইসলাম গ্রহনের পর তিনি বিভিন্ন জায়গায় লেকচার দেন। নানা খৃস্টীয় পাদরীর সঙে যুক্তিতর্কও করেন।